
পঞ্চগড় আটোয়ারী প্রতিনিধি:পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের ঝাঁকোয়া পাড়া গ্রামের শ্রী সুবাস বর্মন এর ছেলে, নয়ন চন্দ্র বর্মন পূর্ণিমা রানী(১৮) নামের এক যুবতীর সাথে ৬ মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তারই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক ঠাকুরগাঁওয়ে এফিডেভিট করে,হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন এর মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এলাকা সূত্রে জানা যায় পরিবারে অভিযোগ,বিবাহিত নববধূর বয়স নাকি চল্লিশ পেরিয়ে গেছে, যুবকের বয়স(২১) তাই বিয়ে মানতে নারাজ,ছেলের পরিবারে বড় জামাই শ্রী উজ্জ্বল সরাজ। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে দেয়,আমার শালক অন্য জায়গায় বিয়ে করলে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক পাবে,আমরা এই বিয়ে মেনে নিব না,প্রয়োজন বোধে আমার শ্যালকের স্ত্রীকে টাকা পয়সা দিয়ে মীমাংসা করে নিব।
এই সুযোগে এলাকার কিছু দুষ্কৃতী নেতা বিষয়টি নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে,মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আটোয়ারী থানায় অভিযোগ দিলে আপস মীমাংসা করার কথা বলে,শুধু সময় পার করছে,৩১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯ টার সময় শ্রী নয়ন চন্দ্র বর্মনের বাসায় স্ত্রীর দাবিতে অন্নশন করছে।
এদিকে পূর্ণিমা রানী অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামীকে তাদের পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজন বাসা থেকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে এবং আমার উপর মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে যেন এখান থেকে আমার বাবার বাসায় আমি চলে যায়।
এই বিষয়ে ছেলের বাবা শ্রী সুবাস বর্মনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপি’র নেতা কর্মীদের শরণাপন্ন হয়েছি,উনারা যাই করবে আমি তাই মেনে নিব।ছেলের ফুপা স্কুল শিক্ষক শ্রী উজ্জ্বল চন্দ্র বর্মন বলেন আমরা এই মেয়েকে আমাদের পরিবারের পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিব না এতে যা করার আমরা তাই করব।
এই বিষয়ে আলোয়াখোয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানে মোঃ মোজাকারুল আলম কচি সাথে কথা বললে তিনি জানান ঘটনাটি আমি শুনেছি এখন পর্যন্ত কোন পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে অভিযোগ আসেনি অভিযোগ আসলে বিষয়টি আমি সমাধান করার চেষ্টা করব।