
গোলাম রাব্বানী ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ১নং ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া হাটের পাশে অবস্থিত সকলের সু-পরিচিত ভরনিয়া হাট নুরানি হাফিজিয়া ও কাওমি মাদ্রাসা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভরনিয়া হাট নুরানি হাফিজিয়া ও কাওমি মাদ্রাসাটি মুলত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৩ সালে। অত্র মাদ্রাসাটির পাশে বিশাল আয়তনের একটি গোরস্থান রয়েছে, এই গোরস্থানটিকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত। যে গোরস্থানে শুয়ে রয়েছেন এলাকার লক্ষ্য লক্ষ্য মসলিন নর – নারী এবং কুরআনের হাফেজ ও গুনিজনেরা। এই গোরস্থানের সুবাদে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির সুচনা ঘটে। আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেনের প্রচেষ্টায় বর্তমান পর্যন্ত হাজার হাজার কোরআনের হাফেজকে -কোরআনের হাফেজ হিসাবে তৈরি করেছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনার ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষকতা করছেন এবং শিক্ষককের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।
অত্র ভরনিয়া নুরানি হাফিজিয়া ও কাওমি মাদ্রাসা টিতে বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা তিনশতরো বেশি রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় ছাত্র ছাত্রীদের সকাল সকালে শহীদ চর্চা করার জন্য পিটিআই করা হচ্ছে।
এতে করে ছাত্র ছাত্রীদের সুস্থ থাকার জন্য শরীর চর্চা করা হচ্ছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দানের জন্য মাদ্রাসাটিতে নয়জন পুরুষ শিক্ষকের পাশাপাশি পাঁচ জন কোরআনের হাফেজা শিক্ষিকা রয়েছে।
অত্র প্রতিষ্ঠানে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ছাত্র ছাত্রীদের ভালো মানের খাওয়া দাওয়ার সু-ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকারও পরিবেশ ভালো রয়েছে। পাশে রয়েছেন দুই তোলা ভবন সহ ছোট ছোট ভবন,এবং রয়েছে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ ঘর।
অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, মাদ্রাসাটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই পর্যন্ত এলাকাবাসীর ব্যাপক সহযোগিতায় সু-নামের সহিত চলমান রয়েছে,
হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী কোরআনের হাফেজ হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন।এতে করে আমাদের ও এলাকাবাসীর গৌরব, এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের গৌরব বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন এলাকাবাসীর সহযোগিতার পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের অবিভাবকগণও সহযোগিতা করছেন। এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়া লেখার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রতিদিনের ন্যায় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে, মাদ্রাসাটির পরিবেশ এবং আবহাওয়া অনুকূলে ভালো রয়েছে। সু- নামের সহিত ছাত্র ছাত্রীরা পড়া লেখা করছেন। তবে ছাত্র ছাত্রীদের তুলনায় ঘরের জায়গার পরিমাণ কম থাকায় একটি দুই তোলা ভবনের কাজ চলমান রয়েছে,এলাকাবাসীর, এবং সকলের সহযোগিতার হাত বৃদ্ধি পেলেই প্রতিষ্ঠানের কাজ গুলো দ্রুত শেষ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ তিনি করেছেন।