
জবি প্রতিনিধি।।।সমাজবিজ্ঞান ডিবেটিং ক্লাব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। উক্ত ক্লাবের সভাপতি নির্বাচন হয়েছেন বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রুকাইয়া মিজান মিমি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম আকন।
আজ বুধবার এ কমিটি গঠন করা হয়। ক্লাবটির মডারেটরের দায়িত্বে আছেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন খান।
এছাড়াও কমিটির অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যসমূহ যথাক্রমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আলিম, কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, অর্থ সম্পাদক নুসরাত জাহান, প্রচার সম্পাদক কানিজ ফাতেমা জান্নাত, দপ্তর সম্পাদক মো. আল জাবের।
নবনির্বাচিত এই কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়্যারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ সম্প্রতি ‘সোসিওলজি ডিবেটিং ক্লাব’ গঠন করেছে। এই ক্লাবের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের যুক্তিনির্ভর চিন্তাশীলতা, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিবেচনাপ্রসূত মত প্রকাশের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
তিনি আরও বলেন, বিতর্ক কেবল প্রতিযোগিতা নয়, এটি একধরনের মুক্ত মঞ্চ—যেখানে তরুণরা সমাজ, সংস্কৃতি, নীতি ও মূল্যবোধ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ পায় এবং তা সুন্দরভাবে সকলের সামনে উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাজের নানা নেতিবাচক দিকের যুক্তিনির্ভর সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই ক্লাব শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে সহায়তা করবে এবং তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধকে আরও জাগ্রত করবে। শিক্ষার্থীদের বিতর্ক চর্চা অব্যহত রাখতে এবং তাদের এই চর্চায় উৎসাহিত করতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ সদা সক্রিয় ও তৎপর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমি এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি “সোসিওলজি ডিবেটিং ক্লাব” আমাদের বিভাগের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
নতুন কমিটির সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে ক্লাবটির সভাপতি রুকাইয়া মিজান মিমি বলেন, “বিতর্ক আমাদের চিন্তার জগতকে শাণিত করে। সেই সাথে পরমতসহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই বিতর্ক সংগঠনটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিতর্ক চর্চাকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও সমৃদ্ধকরণে নিয়মিত কর্মশালা ও বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে যাবে। আশা করি কমিটির কর্মপরিকল্পনা বিভাগকে আরও আলোকিত করবে।”
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক নাঈম আকন বলেন, বিতর্ক কেবল জেতার প্রতিযোগিতা নয় — এটি চিন্তার বিকাশ, যুক্তির শানিতকরণ এবং সত্যের অনুসন্ধানের একটি দীপ্ত যাত্রা। আমি বিশ্বাস করি, একজন বিতার্কিকের মূল শক্তি তার যুক্তিতে এবং প্রশ্ন করার সাহস। বিতার্কিকরা সমাজের প্রচলিত ধারা নিয়ে ভাবতে শেখে, অন্যের মতকে সম্মান করতে শেখে, আর যুক্তির আলো দিয়ে অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ করে। বির্তক চিন্তাশীলতা ও সামাজিক পরিবর্তনের এক বলিষ্ঠ মাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, বিতর্ক আমাদের শেখায় — মতের ভিন্নতা বিভক্তি নয়, বরং তা বিকাশের ভিত্তি যেখানে প্রতিটি শব্দ হয়ে উঠবে পরিবর্তনের বীজ। আমি মনে করি এই কমিটির মাধ্যমে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে বির্তক অঙ্গনে নতুন যাত্রা উন্মোচন হবে।