1. live@dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় : দৈনিক ঝড়
  2. info@dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নলছিটিতে এডঃ শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল পলাশবাড়ীতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে গ্রাম-কৃষিজমি ঝুঁকিতে, আইন থাকলেও অপরাধীরা অধরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে সাংবাদিক কনফারেন্স ঠাকুরগাঁওয়ে হোটেল থেকে ভোরে বেরিয়ে নিখোঁজ তিন ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি ৪৮ দিনেও,কবে মিলবে তাদের খোঁজ আটোয়ারীতে পরিত্যক্ত লাকড়ি রাখার ঘর থেকে রিভালবার ও দুই রাউন্ড গুলি সহ ৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কৃষক নেতা মকছেদ আলী পঞ্চগড়ে অসহায়দের মাঝে উপহার বিতরণ বাড্ডা (উত্তর) থানার ওয়ার্ডের বিশেষ কর্মী সম্মেলন নবনির্বাচিত জামায়াতের সেক্রেটারি পলাশবাড়ীর কৃতি সন্তান থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি!যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা! প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর!

জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, সেলাই করলেন ওয়ার্ড বয়!

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার চরম অব্যবস্থাপনা প্রকাশ পেয়েছে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না পেয়ে রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এমনকি গুরুতর আহত এক শিশুর হাতে সেলাই দিয়েছেন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়!

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের জুগিকাটা গ্রামের ফরহাদ হোসেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের লতাপাড়া গ্রামে। এসময় তার ছেলে মেহেদি হাসান খেলতে গিয়ে কার্তি দিয়ে হাত কেটে ফেলেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় শহিদুল ইসলাম শিশুর আঙুলে দুইটি সেলাই দেন। প্রায় বিশ মিনিট পর স্বজনদের অভিযোগে সিভিল সার্জনকে জানানো হলে তড়িঘড়ি করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি হাসপাতালে পৌঁছান।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা।
কালিবাড়ি এলাকার রোগী রঞ্জন বলেন, “গলা ব্যথা নিয়ে জরুরি বিভাগে এসেছি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার পেলাম না। জরুরি বিভাগে যদি চিকিৎসকই না থাকেন, তবে এখানে এসে লাভ কী?”

অন্যদিকে সানজানা ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু ৪০ মিনিট অপেক্ষার পরও কোনো চিকিৎসক পাননি। মমতা নামে আরেক রোগী বলেন, “২০ মিনিট ধরে বসে আছি। ডাক্তার নেই। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে একের পর এক ফিরে যাচ্ছে। এটা কেমন স্বাস্থ্যসেবা?”

অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি বলেন, “আমরা সেবা দিচ্ছি না তা নয়। আমার ছোট বাচ্চা থাকায় আধা ঘণ্টা দেরি হতে পারে। সাধারণত জরুরি রোগী এলে আমাকে জানানো হয়। কিন্তু সেদিন আমাকে কেউ ইনফর্ম করেনি।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবীর বলেন, “জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত ছিল—এটা আমার জানা নেই। কোন চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন তা খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। তবে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার থাকার কথা।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য ও ছবি পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রকাশিত যেকোনো লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কিত দায়ভার কেবলমাত্র, সম্পাদক এর।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট