
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঠাকুরগাঁও:ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি অর্থবছরের ‘কাবিটা’ (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও সরকারি অর্থ হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিনে চিলারং ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চলতি মাসে চলমান তিনটি প্রকল্পের একটিতেও মানা হয়নি সিডিউল। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ইট সাধারণ মানুষের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা যোগসাজশ করে সরকারি মালামাল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে। বাকি কাজগুলোতেও অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ও বালুর ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) যথাযথ তদারকি না থাকায় সিন্ডিকেট করে টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
২ নং আখানগর ইউনিয়নের মহেশপুর সর্দার পাড়ায়। সেখানে প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র ধারণ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী ও তার অনুসারীরা চড়াও হয়। কর্তব্যরত সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু শোয়েব খান বলেন, “কাজে অনিয়ম বা মালামাল সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে।” তবে সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুধু নোটিশ নয়, বরং উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সদর উপজেলার প্রতিটি কাবিটা প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।