 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনতোষ কুমার রায়, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। ঠাকুরগাঁওয়ে একজন নারী টিকটকারের বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং সেই নারীর কর্মস্থলের কর্মকর্তাদের অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। অনেকেই মনে করছেন এই নারীর এমন উচ্ছৃঙ্খলতার মূল পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন তার কর্মস্থল ঠাকুরগাঁও এল জি ই ডির কিছু কর্মকর্তা কর্মচারি।ইতি মনি নামে ওই নারী টিকটকার ষোল বছর বয়সে ঠাকুরগাঁও এল জি ই ডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে যাতায়ত শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি আর থেমে থাকেননি, বর্তমানে তার বয়স ৫৫ বছর। ওই দপ্তরের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারির সাথে গড়ে ওঠে তার বিশেষ ঘনিষ্ঠতা। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবার থেকে আপত্তি ওঠায় তিনি পরিবার ত্যাগ করে এল জি ই ডি দপ্তরকে আপন করে নেন। ইতোপূর্বে তার কয়েকটি বিয়েও হয়েছিল কিন্তু ইতি মনি এল জি ই ডি দপ্তর না ছাড়তে পারায় তার স্বামীরা তাকে ছেড়ে চলে যায়। ইতি মনিকে উক্ত দপ্তরে একটি “নো ওয়ার্ক নো পে” চাকরি দিয়ে মূল পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করেন ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা। উক্ত দপ্তরে তিনি কোন কাজ না করলেও সর্বত্র অফিস কর্মচারি হিসেবে রয়েছে তার পরিচিতি। দীর্ঘ দু দশকে ঠাকুরগাঁও এল জি ই ডি থেকে একাধিক কর্মকর্তা বদলী হয়ে গেলেও ইতিমনি তার নিজের জায়গায় অনড় হয়ে আছেন এবং নবাগতদের সাথেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিশেষ ফায়দা হাসিল করছেন।এই ইতি মনির বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণ, চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নেয়া, যেকোন জায়গায় পূর্বনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন জনের ভিডিও গ্রহণ এবং তা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন সবলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন ধরে এই নারী টিকটকার সাংবাদিকের ওপরও চড়াও হন। ভুক্তভোগী একজন সাংবাদিক উপায়ন্তর না দেখে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি ওই নারীর দপ্তরের কর্মকর্তাদেরও বিষয়টি জানান। কর্মকর্তারা বলেন“ওর মাথায় একটু সমস্যা আছে”। একজন মস্তিস্ক বিকৃত নারীকে এল জি ই ডি কোন স্বার্থে কোনপ্রকার কাজ ছাড়া চাকরি দিয়ে রেখেছেন এমন প্রশ্নের জবাব ওই দপ্তরের কেউ দিতে পারেননি। অনেকেই মনে করছেন উক্ত ইতি মনির অবস্থা অনেকটা পৌর এলাকার বেওয়ারিশ কুকুরের মত। যখন তখন যাকে তাকে কামড়াতে আসে কিন্তু মারার কোন আইন নেই। মুলত নারী সুরক্ষার আইন সমুহের অপব্যবহার করেই ইতিমনি সকল অপকর্ম করে আসছেন। পাগলা কুকুর যদি সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতি হুমকী হয়ে দেখা দেয় তবে তা দমন করা কার দায়িত্ব সাধারণ মানুষ সে প্রশ্ন রেখেছেন প্রশাসনের প্রতি।