
ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির সংশয়ে এলাকাবাসী!
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শ্যামপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র শহিদুল ইসলাম চলতি সালের কয়েক মাস আগে বাদী হয়ে জোরপূর্বক জমি বেদখল,
ফসলী জমি থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অর্থ আত্মসাৎ এবং ভুক্তভোগীদের অবৈধ অস্ত্রধারা মারপিটের অভিযোগে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুদুর ছেলে আমিনুল ইসলাম (মেম্বার) কে ১ নং এবং আরও ৩৫/৪০ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।
এতে উল্লেখ থাকে যে, ১নং-আসামী আমিনুল ইসলাম এর হুকুমে সকল আসামীগণ নিম্ন তফশীল বর্ণিত জমিতে থাকা আমার নিম্ন তফসিল বর্ণিত ৬০ শতাংশ জমির, আমার প্রতিবেশী ভাই মোঃ মাহাবুব আলম নিম্ন
তফসিল বর্ণিত ৩২শতাংশ জমির, প্রতিবেশী ভাতিজা মোঃ নাইন মিয়া এর নিম্ন তফসিল বর্ণিত ১৮ শতাংশ জমির, প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোঃ রুহুল আমিন ও মোঃ আঃ মোতালের দ্বয়ের নিম্ন তফসিল বর্ণিত ১৪ শতাংশ জমির, প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোঃ
আইয়ুব আলী এর নিম্ন তফসিল বর্ণিত ১২ শতাংশ জমির, প্রতিবেশ ভাই মোঃ আনারুল ইসলাম এর নিম্ন তফলিল বর্ণিত ১২ শতাংশ জমির, প্রতিবেশী মোঃ ইবনুল হাসান (২) রতন এর নিম্ন তফসিল বর্ণিত ০৮ শতাংশ জমির এবং প্রতিবেশী ভাতিজা মোঃ
আনিছুর রহমান এর নিম্ন তফসিল বর্ণিত ৬৭শতাংশ জমির সকলের লাগানো প্রায় ৭ (সাত) বিঘা জমির আমন ধান উপড়াইয়া ফেলিয়াছে ও কর্তন করিয়া বিনষ্ট করিয়া অনুমান ৪.৫০,০০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্ষতিসাধন করে। তফসিল নালিশী জমিঃ
জেলা: গাইবান্ধা, থানা-পলাশবাড়ী, মৌজাঃ শ্যামপুর, জে.এল নং ১০৮, বিআরএস খতিয়ান নং-৩৩৭, বিআরএস দাগ নং-১৩৮৫, ১৯৮৬ জমির পরিমাণ-৬০ শতাংশ, বিআরএস দাগ নং- ১৩৬৭, ১৩৬৮, ১৩৬৯, ১৩৮৩, জমির পরিমান-৩২ শতাংশ,বিআরএস খতিয়ান নং- ২৪১, বিআরএস দাগ নং-১৩৭১,১৩৭২ জমির পরিমান ১৮+১৮=৩৬ শতাংশ, বিআরএস খতিয়ান নং-
২৪৭, বিআরএস দাগ নং- ১৩৬৬, জমির পরিমান-১৪ শতাংশ, বিআরএস খতিয়ান দাগ নং-৭৮, বিআরএস দাগ নং-১৩৭৮ জমির পরিমান-১২ শতাংশ, বিআরএস খতিয়ান নং-৩৬০, বিআরএস দাগ নং- ১৩৫২, জমির পরিমান ২০ শতাংশ, বিআরএস খতিয়ান নং-২৬৬ বিজারএস দাগ নং- ১৩৬৫, ১৩৭০, জমির পরিমান ৬৭ শতাংশ, সর্বমোট জমির পরিমান ২৪১ শতাংশ।
এ উপলক্ষে প্রাথমিকভাবে বাদী বিবাদী উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পলাশবাড়ী থানায় বৈঠক হলে আসামি গন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং থানা থেকে বের হয়ে গ্রামে পৌঁছানোর আগেই আবারও বাদী পক্ষের উপর হামলা করে।
এরপর বাদী পক্ষ পুনরায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন,এ অভিযোগেও আমিনুল ইসলাম (মেম্বার) কে ১ নং এবং আরও ৮/১০ কে আসামি করেন। এতে উল্লেখ থাকে যে বিবাদীগণ অত্র এলাকার একদলভুক্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, আইন অমান্যকারী ও ভূমিদস্যু ব্যক্তি
বটে। ইতিপূর্বে বিবানীগণ আমার ও আমার পতিবেশী অনেকের প্রায় ৭ (সাত) বিঘা জমির আমন ধান উপড়াইয়া ফেলিয়াছে ও কর্তন করিয়া বিনষ্ট করিয়া অনুমান ৪,৫০,০০০/-(চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্ষতিসাধন করে। উপরোক্ত বিষয়ে স্থানীয়
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে গত ইং-০৩/১০/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার পলাশবাড়ী থানায় বসিয়া আপোষ মিমাংসা করিয়া একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় অটো যোগে বাড়ি ফেরর পথে পলাশবাড়ী থানাধীন কেত্তারপাড়া মৌজাস্থ দোকানঘর নামক স্থানে পৌঁছামাত্র সকল বিবাদীগণ একই উদ্দেশ্য সাধনকল্পে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ
হইয়া হাতে ধারালো বেকী, ধারালো দা, ধারালো কাঁচি, ধারালো হাঁসুয়া, স্টিলের পাইপ, লোহার রড়, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার অটো আটকি করিয়া ১নং-বিবাদী আমিনুল ইসলাম এর হুকুমে সকল বিবাদীগণ তাদের হাতে থাকা স্টিলের পাইপ, লোহার রড়, লাঠি-সোটা আমার প্রতেবেশী ভাই মোস্তাফিজার রহমান, মতলুবর রহমান, রবিউর ইসলাম, মোঃ রকিব হোসেন, মোঃ সুজন মণ্ডলগণকে এলোপাথারীভাবে করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফুলা রক্তাক্ত জখম করে।
এরই প্রেক্ষিতে পুনরায় স্থানীয় সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বাদী-বিবাদীগণ থানায় উপস্থিত হন এবং চার লক্ষ পঁচানব্বই হাজার সাতশো টাকা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বিবাদীগণ ক্ষতিপূরণ দেবে মর্মে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়।
এই ঘটনায় দীর্ঘদিন পেরিয়া যাওয়ার পর উক্ত টাকা পরিশোধ না করে বর্তমানে বাদী পক্ষের লোকজনকে
বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি, পুনরায় জমি জবরদখলে হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে আসামি পক্ষ।
এমতাবস্থায়, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার সর্বোচ্চ সহোযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।