
ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃমাহাবুব ইসলাম দোলন (৭৫) এবং হাসনা বগম (৭০) দম্পতির একমাত্র সন্তান হাসানুর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।প্রায় চারমাস আগে বৃদ্ধ বাবামাকে ঘর থেকে বের করে তালাবদ্ধ করে দিয়েছে নিজ পুত্র ও পুত্রবধূ মিলে। সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাতা-পিতার প্রতি অসদাচরণ এবং ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে।
সম্প্রীতি পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গি গ্রামে চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনায় পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী ভুট্টোর নির্দেশে পুলিশের একটি টিম জনরোষ হতে অভিযুক্ত হাসানুরকে এবংতার বাবা মা বৃদ্ধ দম্পতিকে থানায় নিয়ে আসা হয়।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতায় উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে তিনশত টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর করে বাবা-মায়ের ভরণপোষণ ঔষধ ব্যায়ভার বহন এবং ছয় শতাংশ জমিতে বসবাস করার উপযোগী করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এবং নতুন ঘর এবং বসবাস উপযোগী নির্মাণ অবকাঠামো তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরনো বাড়িতেই থাকবে,থাকাকালীন কোন খারাপ আচরণ না করার অঙ্গীকার করার কথা উল্লেখ করে একমাত্র সন্তানের কাছে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘরে উঠানোর ব্যবস্থা করেন সে সময়ের পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এমন ঘটনা বেশ কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনঃরায় মাতা-পিতার প্রতি অসদাচরণ, ভরণপোষণ না দেওয়া এবং প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে একমাত্র ছেলের হাসানুর( ৫৫) এর বিরুদ্ধে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়,বসবাসের অনুপযোগী দায়সারা ভাবে টিনশেড ঘর নির্মান করে এবং বৃদ্ধ বাবা মাকে জোরপূর্বক সেই ঘরে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে।তীব্র শীতে বৃদ্ধ দম্পতি টিনশেড ঘরে না যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে ছেলে আর ছেলের বউ মিলে তাদের উপর প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রেখেছেন।
এমন ঘটনায় আবারো স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেই সাথে পুনঃরায় নব যোগদানকৃত পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়, এলাকাবাসী।