
ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে নতুন, মনগড়া, ভুয়া কমিটি গঠনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে পলাশবাড়ী পৌর শহরের রাঙ্গামাটি মহাশ্মশান চত্ত্বরে এলাকাবাসীর আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্মশান কমিটির সভাপতি দিলীপ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক নেহার রঞ্জন চৌধুরী (কালিদাস বাবু), বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শ্যামল চন্দ্র সাহা,বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শুভ মহন্ত,
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব লিখন কুমার সরকার,শ্মশান সেবক আনন্দকুার, পরেশ চন্দ্র সরকার, ভজা সরকার, সুভাষ চন্দ্র সরকার ছাড়াও সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
সমাবেশে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রায় ৫ শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা, এলাকার ঐতিহ্যবাহী এই কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান কমিটিকে পাশ কাটিয়ে জনৈক অরবৃন্দ ও রাসুদেব নামে কয়েকজন ব্যক্তি বেআইনিভাবে নতুন পকেট কমিটি ঘোষণা করেছেন। বক্তারা , ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ঐতিহ্য নষ্টের অপচেষ্টা হিসেবে এই উদ্যোগের নিন্দা জানান। তারা আরো বলেন, বাবু দিলীপ চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে পূর্বের গঠিত কমিটিই বৈধ ও কার্যকর কমিটি, যা দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে এলাকার ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ও শ্মশান পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করে আসছে। সেইসাথে নবগঠিত কমিটি টি সম্পুর্ন মিথ্যা,বানোয়াট ভিত্তিহীনভাবে অভিযোগ তুলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে কমিটি গঠন করেছে সে কমিটির সকলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তীব্র নিন্দা জানায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকাবাসী কিংবা স্থানীয় যারা আছেন তাদেরকে অবগত না করে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কতিপয় গুটিকয়েক ব্যক্তি কমিটি গঠন করে যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । কোনো নির্দিষ্ট বা বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সাধারনসভা না ডেকে কমিটির সদস্যদের মধ্যে আলোচনা না করে একটি স্বার্থন্বেষী মহল আগ্রহী সদস্যদের নাম প্রস্তাব করে মনগড়া কমিটি গঠন করে সনাতন ধর্মের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সাংঘর্ষিক বিষয়।
শ্মশান কমিটির কোষাধাক্ষ পলাশ সাহা সাংবাদিকদের জানায়, ইতিপূর্বে গণযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সভাপতি বাবু দিলীপ চন্দ্র সাহা চন্দ্র সাহার নামে যে মিথ্যা অপপ্রচার এবং অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিত্তীহীন। কারণ শ্মশানের গাছ বিক্রির ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সারে তিন শতাংশ শ্মশানের নামে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। এবং বাকি টাকা দলিল খরচের জন্য ব্যয় করা হবে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয়রা ভুয়া কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা সহ সভাপতি নামে মিথ্যাও ভিত্তিন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি বাবু দিলীপ চন্দ্র সাহা জানান, একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে এ সকল অপকর্ম করেছে। কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের বিরুদ্ধে সকল অপকর্ম ঠেকাতে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ সময় স্থানীয়রা রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।