
ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পল্লীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সৈনিকের খড়ের পালায় (গাদায়) আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ০৯ টার দিকে উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সৈনিক সাইফুল ইসলাম (৪৪) সাংবাদিকদের বলেন, আমার প্রতিবেশীদের সাথে দীর্ঘ দুই বছর যাবত জমি জমার সংক্রান্ত জেরে বিরোধ চলে আসছে।সেই বিরোধের জের ধরে ইতিমধ্য আমাদের নামে গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টে চারটি মামলা করেছেন। এমনকি শত্রুতা করে মাস ছয়েক আগে পুকুরের বিষ প্রয়োগ প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ মেরে ফেলে ক্ষতিসাধন করা সহ একের পর এক ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় আমার প্রতিপক্ষ (জেঠাত ভাই) মোকলেছ এর ছেলে সজীব (২০) ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগমের দোকান সংলগ্ন আমার নিজস্ব জমিতে রাখা তিন বিঘা পরিমাণ জমির খড়ের গাদায় পার্শ্ববর্তী কাতুলী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে
বেলাল(৫০)এর হুকুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।আমার সাথে শত্রুতার জেরে এত বড় ক্ষতি করেছে।আমি প্রশাসনের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সৈনিক সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম সঙ্গে আপন জ্যাঠাতো ভাই সহ ভাগি শরিক কয়েকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।যাহা মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ করেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার দিন রাতে মোখলেছের বাড়ির সামনে রাখা খড়ের পালায় হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখা যায়। স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পালাটি আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
ঘটনার ঠিক আগমুহূর্তে তার মোকলেসের ছেলে সজীব কে তাদের দোকানে দোকানদারি করতে দেখা যায়। সরাসরি আগুন দিতে না দেখলেও পূর্ব শত্রুতা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কজন স্থানীয় জানায়, প্রতিপক্ষরাই আক্রোশ মেটাতে এই অগ্নিসংযোগ করেছে।ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন এবং সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।
এমন ঘটনায় যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় গণ্যমান্য ও সচেতন মহল। তারা নিজেদের মধ্যে এমন শত্রুতা নিরসনের জন্য স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।