
ফজলার রহমান(গাইবান্ধা)থেকে :সুদানে জাতিসংঘের(ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি
শান্তিরক্ষীর মধ্যে একজন লন্ড্রি কর্মচারী সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়।
পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি(ছোট ভগবানপুর)গ্রামের মৃত হাবি–বুর রহমান ও ছকিনা বেগম দম্পতির ছেলেসবুজ।সবুজ ছোট বেলায় তার বাবাকে হারান।
মহদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে
জানান,প্রায় ৮ বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন।
সবুজ দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট।বোনের বিয়ে হয়েছে।মাত্র এক বছর আগে নাটোর জেলায় বিয়েকরেন সবুজ।তার স্ত্রী ও মা বর্তমানে পলাশবাড়ীরনিজ গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছেন।তিন মাস আগে একবার ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন।সবুজ মিয়ার এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে তার মা-স্ত্রী,আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশিসহ পুরো গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা(ইউএনও)শেখ জাবের আহমেদ জানান,নিহত সবুজের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান।পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।উল্লেখ্য,সুদানের ‘আবে’ই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তি–রক্ষা মিশনের আওতায় কাদুগলি লজিস্টিক বেসে
শনিবার(১৩ ডিসেম্বর)স্থানীয় সময় বিকেল আনুমা-নিক ৩টা ৪০ থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন-তাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালায়।দায়িত্ব পালনরত এসময় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ছয় সেনা নিহতের ঘটনা ঘটেছে।