
নিজস্ব প্রতিবেদক।। বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষা অনুরাগী মোঃ সামসুজ্জামান দুলাল ঠাকুরগাঁওয়ের একজন পরিচিত মুখ। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তিনি শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় যুক্ত আছেন। ছাত্রজীবনে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে জিএস প্রার্থী ছিলেন।
শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামে যোগদান করেন এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার হয়রানি, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি অটল থেকে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকারের জরুরি অবস্থার সময় তিনি কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক কারণে ক্রসফায়ারের হুমকি, জেল-জুলুম ও হয়রানির মুখোমুখি হন। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনী মামলা এবং ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন চলাকালীন সময়ে একাধিক মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়। তবুও তিনি ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
২০০১ সালে জোট সরকারের আমলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সহযোগিতায় তিনি হারাগাছ পাড়া জান্নাতুল ফেরদৌস দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া ১৯৯৪ সালে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহযোগিতায় ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার উচ্চ বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়। মাধবপুর ডাকঘর প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন।
শিক্ষা ও সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। সামাজিক অবস্থান ক্ষুণ্ণ করার জন্য নানা মহল ষড়যন্ত্র করলেও তিনি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সব বাধা অতিক্রম করে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বাবু রমেশ চন্দ্র সেনের আইন বহির্ভূত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে তিনি ২০২৫ সালে অনুকূল রায় পান।