
গোলাম রাব্বানী,হরিপুর প্রতিনিধি।।শরতের বিদায়ের সাথে সাথে হেমন্তের শেষে শীত তার আগমনী বার্তা প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু করে। ভোরের কুয়াশা, শিশির ভেজা ঘাস, হিমেল হাওয়া এবং খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি শীতের আগমনের ইঙ্গিত দেয় ঠিক তেমনি উওরের জেলা ঠাকুরগাঁও ভোরবেলা ঘনকুয়াশা আবছায়া ঘাসের ডকায় শিশির বিন্দু এবং সকালে হিমশীতল ঠান্ডা মৃদু হাওয়ায় বলে দিচ্ছে শীতের আগমন হবে বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন ২২ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সর্বোচ্চ ৩২ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে । ইত্যমধ্যে সাইবেরিয়া থেকে আসা নানা রঙের অতিথি পাখি এবং বাজারে শীতকালীন সবজির আগমনও এই সময়ের বিশেষ আকর্ষণ, ঋতুচক্রের আবর্তনে শীতকাল আসে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে, উত্তরের হিমেল হাওয়া এবং কুয়াশায় ঢাকা সকাল আমাদের দেশের শীতকালকে আরও মনোরম করে তোলে। শীতকাল বাংলার প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনযাত্রায় এক বিশেষ প্রভাব ফেলে।
শীতকালে প্রকৃতি একটি নতুন রূপ ধারণ করে। সকালবেলা ঘন কুয়াশায় চারপাশ আবৃত থাকে। কোনো কোনো দিন সূর্যের দেখা পাওয়া দুষ্কর হয়। গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে পড়ে এবং অনেক পাতা ঝরে যায়। প্রকৃতির এই নিস্তব্ধতা যেন শীতের আগমনী বার্তা বহন করে
শীতের সকাল শিশিরভেজা ও কুয়াশায় মোড়া। সকালবেলা পথঘাট থাকে নির্জন। গ্রামে-গঞ্জে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে দেখা যায়। শহরে মানুষের কর্মব্যস্ততা শুরু হয় অনেক দেরিতে। তবে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের জন্য শীতের সকাল কঠিন। গরম কাপড়ের অভাবে তাদের শীতের কষ্ট বেড়ে যায়।
বাংলার ঋতুচক্রের পঞ্চম ঋতু শীতকাল। এটি পৌষ ও মাঘ মাসজুড়ে বিরাজ করে। তবে কার্তিকের শেষ থেকে শীতের প্রভাব শুরু হয় এবং ফাল্গুন মাস পর্যন্ত টিকে থাকে।
শীতকাল কৃষকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় আমন ধান কাটা হয় এবং নবান্নের উৎসব পালিত হয়। খেজুরের রস ও গুড়, পিঠা-পুলি, চিড়া-মুড়ি শীতকালকে আরও উপভোগ্য করে তোলে। শীতকালে শাকসবজি, টাটকা মাছ, এবং নানা ধরনের ফল সহজলভ্য হয়। এ সময় মানুষের কাজের ক্ষমতা বাড়ে এবং মশার উপদ্রব কমে যায়। হয়তো আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে উপভোগ্য হবে শীতের শিহরন, ঘাসের ডকায় প্রতিনিয়ত ঝলমল করবে শিশির বিন্দু।