
ফজলার রহমান স্টাফ রিপোর্টার :—-রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় এনথ্রাক্স প্রতিরোধে জনসচেতনতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে ব্যাপক টিকাদান, সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং মাঠপর্যায়ের তৎপরতার কারণে এ অগ্রগতি দেখা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামের সোনারপাড়া এলাকার চারজন লোক হাতে ঘা-ক্ষত নিয়ে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে বিষয়টি নজরে আসে। ওইদিন থেকেই উপজেলাজুড়ে গবাদিপশুর টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
এছাড়া মাংস বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যাতে তারা অসুস্থ পশু জবাই না করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হচ্ছে। খামারিদের নিয়ে উঠান বৈঠক আয়োজনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ চলছে।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক, উপ-পরিচালক রংপুর বিভাগ এবং জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়মিত মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন। একজন উপ-পরিচালককে মিঠাপুকুর উপজেলার সার্বিক কার্যক্রম সরেজমিন তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সতর্ক অবস্থায় কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আজ অবধি এলাকায় মানুষ ও গবাদিপশুর মধ্যে নতুন করে কোনো তড়কা রোগের সংক্রমণ দেখা যায়নি।