
পেয়ার আলী, ঠাকুরগাঁও:বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একীভূতকরণসহ চার দফা দাবিতে রানীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে গত তিনদিন যাবৎ অফিসে গিয়ে গ্রাহকরা নানা প্রকার ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, যে কোন সময় দেখা দিতে পারে বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ( রবিবার) সকাল থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতিতে থমকে গেছে সেবাদান কার্যক্রম।
তাদের চার দফা দাবি হলো—আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একীভূতকরণ বা অন্য বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা, সব চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ী করা, মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও বদলি/বরখাস্তের বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন। ১৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে এ পর্যন্ত চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তকৃতদের পূর্বের কর্মস্থলে পুনর্বহাল। লাইনক্রুদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ধারণ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
১০ সেপ্টেম্বর ( বুধবার)দুপুরে রানীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা যায় ডিজিএম ছারা কেউ নেই ।
রানীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম এনামুল হক জানান– রানীশংকৈলে ৬৬ হাজার গ্রাহক আছে | প্রতি দেড় হাজারে একজন কর্মীর প্রয়োজন হলে মোট ৪৪ জন কর্মী প্রয়োজন, সেখানে আছেন মাত্র ১৯ জন | ৪৪ জন কর্মীর কাজ ১৯ জন করতে গিয়ে ১৬ ঘন্টা কাজ করতে হয় | কাজের ডিউটি ৮ ঘন্টা থাকলেও অতিরিক্ত পরিশ্রমের মুল্য কর্মচারীরা পায় না | অফিসে অন্যান্য কাজকর্ম বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবাসহ বিদ্যুৎ বিল নেয়া হচ্ছে |
01750876384