।। জুলফিকার আলী শাহ্।।
সংস্কৃতি ও বিনোদনে তাঁর অবদান: কেবল সামাজিক দায়বদ্ধতাই নয়, হারুন অর রশিদ সংস্কৃতির প্রসার এবং মানুষের সুস্থ বিনোদনের ক্ষেত্রেও রেখেছেন এক অসামান্য অবদান। তিনি বিশ্বাস করেন, সমাজের জাগরণে শিল্প-সংস্কৃতির ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি নিজ উদ্যোগে এলাকার মানুষের বিনোদনের জন্য অসংখ্য যাত্রাপালা, মঞ্চ নাটক, পথনাটক এবং শর্টফিল্মের মতো বৈচিত্র্যময় আয়োজন করেছেন ও মঞ্চায়ন করিয়েছেন। গ্রামীণ জনপদে বিনোদনের দুয়ার উন্মোচন করে তিনি একদিকে যেমন স্থানীয় শিল্পীদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দিয়েছেন, তেমনি অন্যদিকে নাটক ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তার এই সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলো এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় এনেছে আনন্দ ও উদ্দীপনা, যা তাকে একজন পূর্ণাঙ্গ জনবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
হারুন অর রশিদ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব শুধু খবর পরিবেশন নয়, বরং সমাজের প্রতি তার এক গভীর দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই দায়বদ্ধতার টানেই তিনি অসংখ্য মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, তাদের জীবনে এনেছেন আশার নতুন প্রভাত। তার এই নিরন্তর প্রচেষ্টা তাকে কেবল একজন সফল সাংবাদিক হিসেবেই নয়, বরং একজন সত্যিকারের মানবতাবাদী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
জীবনের চলার পথে সকল বাধা, বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে হারুন অর রশিদ শুধু কলম, মানবতা ও সংস্কৃতি নিয়েই থাকেননি, তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিও। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার সভাপতির গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার পতনের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ছিলেন সম্মুখভাগের যোদ্ধা। নিজের জীবন ও ভবিষ্যতের তোয়াক্কা না করে, সর্বোচ্চ সাহস ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি দলীয় কর্মীদের জুগিয়েছেন অনুপ্রেরণা, দিয়েছেন অদম্য সাহস। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র একজন নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক, যার কাছে দেশ ও দলের আদর্শই শেষ কথা।
সাংবাদিক হারুন অর রশিদ এক অনুপ্রেরণার নাম, যিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কলমের শক্তি, মানবিকতার বন্ধন, সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা এক হলে সমাজ কতটা সুন্দর ও শক্তিশালী হতে পারে। তার বর্ণাঢ্য পথচলা আমাদের সকলের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মানবসেবা, সত্য ও সুস্থ সংস্কৃতির মশাল জ্বালিয়ে রাখবে।