
।। শহীদুল ইসলাম শহীদ, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে রবিবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী । তিনি রঙিন বেলুন উড়িয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সিভিলে সার্জন ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা ইপিআই সুপারভাইজার হাসিবুর রহমান লাবুসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষার্থীদের সুস্থভাবে গড়ে তুলতে এই টিকা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, দুষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু ছড়ায় এবং সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এজন্য টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সরকারের এ গৃহীত কর্মসূচি সফল করতে কোন ভয়ভীতি পরিহার করে টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি টিকা সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রসঙ্গে বলেন, টিকা নিয়ে অনেকে অপতথ্য প্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। এসব অপতথ্য প্রচার ও গুজবে কান দিতে বারণ করেন তিনি। এসব প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মিজানুর বলেন,
পঞ্চগড় জেলায় নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী তিন লাখ ৬২ হাজার ১৭৭ জন শিশুকে
টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাসব্যাপী এ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী হলেও চলবে ২০ কার্যদিবস। প্রথম ১২ কার্যদিবস চলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক। পরবর্তী আট কার্যদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুদের টিকা দান কার্যক্রম চলবে কমিউনিটিতে।
তিনি বলেন, জেলার এক হাজার ৮৪৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ জনকে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত এক লাখ ১৪ হাজার ৯২৭ জনকে এক হাজার ৬২ টি কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
রংপুর বিভাগের মধ্যে নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড় জেলা।