
শ্যামলী আক্তার।। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং হরিপুর মহিলা কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি ইউপি নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকধারী প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে বিএনপি-ঘনিষ্ঠ এক প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গোপনে সহায়তা করেছেন তিনি।
এছাড়া সরকারি আবাসন প্রকল্পের নামে পুরো উপজেলায় ঘর বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার স্ত্রীকে মাধ্যমে কোটি টাকারও বেশি অর্থ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি মামলাও রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি অতীতে বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ১ নম্বর আসামি হিসেবেও তার নাম উল্লেখ ছিল। কিন্তু জামায়াত-বিএনপির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাতারাতি বিপুল সম্পদের মালিক হন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি একাধিক প্লট, ডুপ্লেক্স বাড়ি ও প্রাইভেট গাড়ির মালিক হয়েছেন।অভিযোগ রয়েছে, তার স্ত্রী একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেও বাস্তবে তার স্থলে অন্য ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বিষয়টি যথাযথ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।