
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে বিনামূল্যে ১০০ জন কৃষকের মাঝে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অগ্রণী কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে জিংক ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) ও বাস্তবায়ন করে আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রামের রিঅ্যাক্টস- ইন প্রকল্প।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবু আবদুল্লাহ আল মুজাহিদের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইএসডিও রিএক্টস-ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আবু তালহা শিশিরসহ ইএসডিও’র অন্যান্য কর্মকর্তা সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
মানবদেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি মেটানোর উপায়সহ জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের বিভিন্ন জাত, তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জিংক ধান ও গম কে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে তাঁরা এর উৎপাদন ও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।
প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে বিনামূল্যে ১০০ জন কৃষককে ৪ কেজি করে মোট ৪০০ কেজি পুষ্টিসমৃদ্দ ব্রি ধান-১০২ জিংক জাতের ভিত্তি ধান বীজ বিতরণ করা হয়।
ইএসডিও রিএক্টস-ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, রিএক্টস-ইন প্রকল্পটি কানাডা সরকারের অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন, হারভেস্টপ্লাস, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং ম্যাক গিল বিশ্ববিদ্যালয় কনসোর্টিয়াম এর মাধ্যমে অন্যান্য তিনটি দেশের মতো বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের হারভেস্টপ্লাসের কার্যক্রম গুলি ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি উপজেলায় ইএসডিও’র মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, হারভেস্টপ্লাস ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বায়োফোর্টিফাইড খাদ্যশস্যেও বিকাশ ও প্রচার করে এবং বায়োফরটিফিকেশন প্রমাণ এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করে পুষ্টি এবং জনস্বার্থেও উন্নতি করে। হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশে জিংক ধান, জিংক গম এবং জিংক ও আয়রন মসুর এর সম্প্রসারণ এবং অভিযোজনে কাজ করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে আমন মৌসুমে ব্রি ধান ৭২ ও বিনা ধান ২০ এবং বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ৭৪, ৮৪, ১০০ ও ১০২ ধানের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে।