
ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃপলাশবাড়ীতে ভিক্ষুকের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধ, অসুস্থ, প্রতিবন্ধীর সাথে সুস্থ- সবল ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুরাও ভিক্ষা করছে পৌর শহরের অফিস, বাসস্ট্যান্ড,হাটে-বাজারে।
ভিক্ষুকের সংখ্যা নিরুপণে হালনাগাদ সমন্বিত কোনো জরিপ নেই।
পলাশবাড়ী পৌরসভায় যেকোনো স্পটে দাঁড়ালেই মুখোমুখি হতে হয় ভিক্ষুকের।অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার বয়সের ভারে ন্যুব্জ, বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রান্তিক নিম্নবিত্ত, নিম্ন আয়ের কর্মচারী, অসুস্থ শ্রমিক, শিশু ও বিধবারা। জীবন ধারণে আবশ্যকীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাল্লায় পরাজিত মানুষ এরা। পথ চলতে তারা মানুষের কাছে হাত পাতছে, গাড়ি থামলে জানালায় আঘাত করছে। ছোট বাচ্চা থেকে অতি বয়স্ক নারী-পুরুষ সব শ্রেণির ভিক্ষুক এখন পলাশবাড়ী পৌরশহর।
ভিক্ষুকদের এমন কার্যক্রম ‘সামাজিক ব্যধি’ হিসেবে রুপান্তরিত হয়েছে। পথে-ঘাটে, কাঁচাবাজার, শপিংমল, যেকোনো পাবলিক প্লেস, বাসস্ট্যান্ড, ফুটওভার ব্রিজ, ফলের দোকান, ট্রাফিক সিগন্যাল, মসজিদের প্রবেশদ্বার, অফিস, বাসাবাড়ি, পাড়া-মহল্লায় ভিক্ষুকদের উপস্থিতি বলে দেয় ভিক্ষাবৃত্তি বেড়েছে কতটা।
শহড়ে এমন পথচারী কিংবা যানবাহন আরোহী নেই, যিনি দিনে কয়েকবার ভিক্ষুকের সামনে পড়েননি। তবে এই অবস্থাকে নেহায়েত ‘ভিক্ষুক সংক্রান্ত সামাজিক সঙ্কট’ বলতে নারাজ অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, দেশে চলছে প্রচ্ছন্ন দুর্ভিক্ষ। যারা হাত পাততে পারছে, তারাই ভিক্ষা করছে। কিন্তু যারা ৮ থেকে ১৪ হাজার টাকা মাসে আয় করছেন, তারা হাত পাততে পারছেন না। বোবা কান্নায় গুমরে মরছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত পলাশবাড়ী উপজেলায় ভিক্ষুকের উৎপাত বেড়েছে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
জীবিকা নির্বাহের ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় ভিক্ষুকের খাতায় নাম লেখাচ্ছে অনেক কর্মক্ষম নিম্ন আয়ের মানুষ।যা উপজেলায় সামাজিক সঙ্কটকেই শুধু তীব্রতর করেনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকেও নির্দেশ করছে বলে মনে করেন পলাশবাড়ীর সাংবাদিক সমাজ, শিক্ষক সমাজ সহ সচেতন মহল।